বর্তমানে ইন্টারনেট মার্কেটিং এ সবচেয়ে হাতিয়ার হল ইমেইল মার্কেটিং । কারন, অল্প সময়ে অধিক কার্যকরী ফলাফলের জন্য ইমেইল মার্কেটিং এর বিকল্প নাই । ইমেইল মার্কেটিংকে ক্রিয়েটিভ কাজ হিসাবেও ধরা যেতে পারে । কিভাবে আপনি আপনার ক্রেতাদের কাছে পণ্যটিকে উপস্থাপন করবেন, তা নিতান্তই আপনার উপর নির্ভর করে । তাই আপনি যত সৃজনশীল উপায়ে পণ্যকে উপস্থাপন করতে পারবেন আপনার পন্যের বিক্রিও তত বেশি হবে।
ইমেইল মার্কেটিং এর সুবিধাসমূহ
১। অল্প খরচ : অন্যান্য মার্কেটিং যেমন নিউজপেপার, টিভি চ্যানেল ইত্যাদি থেকে ইমেইল মার্কেটিং এর খরচ খুবই কম । যেমন, ১০০০ মেইল পাঠতে মাত্র এক থেকে দেড় ডলার খরচ হয়। এই জন্য বেশী ভাগ মানুষের পছন্দ ইমেইল মার্কেটিং ।
২। অল্প সময় : বিভিন্ন অনলাইন মার্কেটিং পদ্ধতির যেমন, seo , smm ইত্যাদি করে কোন কিছুর প্রচার করাতে অনেক সময় ব্যয় হয় । আর ইমেইল মার্কেটিং করতে অনেক কম সময় দ্রুত ফলাফল পাওয়া যায় ।
৩। সহজ ব্যবহারবিধি : ইমেইল পেরণ বা গ্রহন করার জন্য বেশী কিছু দক্ষতার প্রয়োজন হয় না তাই এই পদ্ধতি যে কেউ সহজে ব্যবহার করতে পারে ।
৪। বিক্রয় বৃদ্ধি : অল্প সময়ে বেশী প্রচারের ফলশুতিতে পন্যের বিক্রির পরিমান বৃদ্ধি পেতে থাকবে । কারন, যত বেশী প্রচার তত বেশী বিক্রয়। আর বেশী প্রচারে ওয়েবসাইট এর মত google penalty খাওয়ার ভয় নাই তবে কিছু নিয়মনীতি মেনে চলতে হবে ।
৫। গ্রাহকের প্রতিক্রিয়া : আপনি যে পণ্য ও সেবা প্রদানের জন্য প্রচার চালাচ্ছেন তাতে গ্রাহকের কেমন প্রতিক্রিয়া হচ্ছে তা অনুমান করা যায় । কারন, কোনো ব্যবসার সাফল্যের জন্য গ্রাহকের ফিডব্যাক হল একটি অমূল্য হাতিয়ার ।
৬। টার্গেটেড গ্রাহক তৈরি : ইমেইল মার্কেটিং করে নির্দিষ্ট পন্যের নির্দিষ্ট গ্রাহক তৈরি করা যায় । এতে পন্যের বিক্রির পরিমান যেমন বৃদ্ধি, তেমনি সময় ও খরচ কমে যায় ।
৭। আগ্রহ সৃষ্টি : একজন গল্পকার যেমন গল্পের মধ্যে পাঠককে ধরে রাখে, সেভাবে সুন্দর সুন্দর ছবি আর লিখা দ্বারা দৃষ্টিনন্দন মেইল তৈরী করে গ্রাহককে আকৃষ্ট করে ধরে রাখা যায় ।
৮। পরিশ্রম কম : যেহেতু সফটওয়্যার দ্বারা ইমেইল সেন্ড করতে হয় তাই অন্যান্য মার্কেটিং থেকে পরিশ্রম কম। শুধু একবার মেইল সেন্ডিং সেটআপ করলেই কাজ শেষ ।
৯। নির্দিষ্ট সময়ে মার্কেটিং : বাংলাদেশি সময়ে যদি আমেরিকায় প্রচারনা চালানো তাহলে কোন লাভ নাই কারন, তখন তারা ঘুমে । তাই ইমেইল মার্কেটিং এ মেইল সেন্ডিং এর সময় নির্ধারণ করে রেখে নির্দিষ্ট সময়ে নির্দিষ্ট পন্যের প্রচারনা চালানো যায় ।
১০। গ্রাহক হারানোর ভয় কম : অনলাইনে বিভিন্ন কেনাবেচার সাইট রয়েছে। যেগুলি থেকে গ্রাহকগণ বিভিন্ন পণ্য কিনে থাকে। যেমন clickbank.com ডিজিটাল প্রোডাক্ট এর জন্য একটি কেনাবেচার সাইট । কিন্তু সবাই কি প্রত্যেকদিনই clickbank এর সাইট ভিজিট করছে না। তারমানে নতুন কোন প্রোডাক্ট আসলে যে ব্যক্তি ঐ সাইটে ভিজিট করছে না সে তো ঐ প্রোডাক্ট সম্পর্কে জানতে পারছি না এবং তারা একজন সম্ভাব্য ক্রেতাকে হারাতে পারে। সুতরাং clickbank যদি তাদের নতুন প্রোডাক্ট সম্পর্কে ইমেইল মার্কেটিং করে থাকে তাহলে ঐ ব্যক্তি মেইলটি তার ইনবক্সে পেয়ে যাবে। ফলে সে প্রোডাক্টটি সম্পর্কে জানতে পারবে। যদি তার প্রোডাক্টটি পছন্দ হয় তাহলে সে এটি কেনার ব্যাপারে আগ্রহী হতে পারে এবং প্রোডাক্ট বিক্রি হওয়ার সম্ভাব্যতা বেড়ে যাবে। সুতরাং ইমেইল মার্কেটিংয়ের গুরুত্ব কতখানি সেটি এ উদাহরণ থেকেই পরিষ্কার হয়ে যাচ্ছে।
বিভিন্ন মার্কেটপ্লেস এ প্রত্যেকদিন ইমেইল মার্কেটিংয়ের অসংখ্য কাজ জমা হচ্ছে। আপনিও ভালভাবে কাজটি শিখে নিয়ে শুরু করতে পারেন ইমেইল মার্কেটিং এ ফ্রিল্যান্সিং ক্যারিয়ার।
0 comments:
Post a Comment