oDesk দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং ক্যারিয়ারের যাত্রা শুরু করেন
রাকিবুল রকি ।
এসইও এবং ইমেল মার্কেটিং সংক্রান্ত ক্ষেত্রেই কাজ করতেই বেশী
স্বাচ্ছন্দবোধ করেন তিনি। ১.৭৯ ডলার দিয়ে শুরু করে আড়াই বছরে এখন তার আয়
১০০০০+ ডলার ।অর্জিত অর্থ দিয়ে অবহেলিত মানুষের জন্য কাজ করার সুদূর
প্রসারী স্বপ্ন নিয়েই ফ্রিল্যান্সিং এর পথে হাঁটছেন এই সফল ফ্রিল্যান্সার ।
রাকিবের oDesk আইডি
https://www.odesk.com/users/~01583a2e8f078a003f
১। ফ্রিল্যান্সিংয়ে কিভাবে উদ্বুদ্ধ হয়েছিলেন?
রাকিব: আমার বন্ধু ওমর বাবলুর কাছ থেকেই সর্বপ্রথম
ফ্রিল্যান্সিং সম্পর্কে জানতে পারি । বি ইউর ওন বস এই তত্ত্বের উপর ভিত্তি
করেই আমার ফ্রিল্যান্সিংয়ে আসা । আমি নিজেই নিজেকে উদ্বুদ্ধ করেছি
ফ্রিল্যান্সিংয়ে আসার জন্য কারণ আমার থিঙ্কিং হলো আমি চাকরি দিব, করব না ।
২। কবে থেকে ফ্রিল্যান্সিং শুরু করেছিলেন? সাধারণত কি কাজ করেন?
রাকিব: ১ ফেব্রুয়ারী, ২০১২ থেকে আমার
ফ্রিল্যান্সিংয়ের যাত্রা শুরু হয় । সাধারণত ওয়েব রিসার্চ, লিড জেনারেশন,
ইমেইল মার্কেটিং, লিন্কেদিন মার্কেটিং, ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট, এস.ই.ও
এর কাজ করি ।
৩। ফ্রিল্যান্সিংয়ের কাজ শিখেছিলেন কিভাবে?
রাকিবঃ এক বড় ভাইয়ের কাছ থেকে প্রথম ফ্রিল্যান্সিংয়ের হাতেখড়ি হয় । এরপর গুগল রিসার্চ আর ভিডিও দেখে দেখে বাকি কাজ গুলো শিখে নেই ।
৪। কোন মার্কেটপ্লেসে কাজ করতে বেশি স্বাচ্ছন্দবোধ করেন? কেন?
রাকিবঃ oDesk এ প্রথম কাজ শুরু করি এবং এই
মার্কেটপ্লেসে কাজ করতে বেশি স্বাচ্ছন্দবোধ করি । কারণ, oDesk ই আমার কাছে
তুলনামূলক বেশি ইউজার ফ্রেন্ডলি মনে হয় ।
৫। ফ্রিল্যান্সিংয়ের কাজে প্রথমবার কত পেমেন্ট পেয়েছিলেন? কাজ কি ছিল? সেই টাকা দিয়ে কি করেছিলেন?
রাকিবঃ ফ্রিল্যান্সিংয়ের কাজে প্রথমবার ১.৭৯ ডলার পেমেন্ট পেয়েছিলাম। কি করেছিলাম সেটা মনে করতে পারছি না।
৬। ফ্রিল্যান্সিং থেকে আয় করা পেমেন্ট কিভাবে উত্তোলন করেন?
রাকিবঃ ফ্রিল্যান্সিং থেকে আয় করা পেমেন্ট ডাচ বাংলা ব্যাংক এর মাধ্যমে উত্তোলন করি।
৭। ফ্রিল্যান্সিং নিয়ে আপনার ভবিষ্যত পরিকল্পনা কি?
রাকিবঃ ফ্রিল্যান্সিং নিয়ে আমার ভবিষ্যত পরিকল্পনা
হলো একটা টীম করে কাজ করা এবং কাজের মাধ্যমে অর্জিত অর্থ অবহেলিত মানুষদের
জন্য ব্যায় করা।
৮। এখন পযন্ত ফ্রিল্যান্সিং থেকে আনুমানিক কি পরিমাণ আয় করেছেন?
রাকিবঃ ফ্রিল্যান্সিংয়ের এই আড়াই বছরে আনুমানিক ১০০০০+ ডলার আয় করেছি ।
৯। ফ্রিল্যান্সিংয়ের কাজে আপনি দিনে কত ঘন্টা ব্যয় করেন? কোন সময়টিতে কাজ করতে স্বাচ্ছন্দবোধ করেন?
রাকিবঃ লেখাপড়ার পাশাপাশি দিনে প্রায় ৮-৯ ঘণ্টা
ফ্রিল্যান্সিংয়ের কাজে ব্যয় করি । রাতের বেলা কাজ করতেই স্বাচ্ছন্দবোধ করি ।
এই সময় লোড শেডিং কম হয় আর পরিবেশ ও শান্ত থাকে ।
১০। ফ্রিল্যান্সিংয়ের কাজ করতে আগ্রহীদের সফল হওয়ার পথে অন্তরায় কি বলে মনে করেন?
রাকিবঃ ফ্রিল্যান্সিংয়ের কাজ করতে আগ্রহীদের সফল হওয়ার
পথে অন্তরায় হচ্ছে ইংরেজিতে দক্ষতার অভাব । আর আমাদের দেশের লোড শেডিং,
ব্যয়বহুল কম্পিউটার, ইন্টারনেট কানেকশান তো আছেই প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টির জন্য
। এছাড়াও আমাদের দেশের অনেক মানুষ এমনকি শিক্ষিত সমাজের অনেকেই
ফ্রিল্যান্সিং সম্পর্কে এখনও অবগত নয় । যার ফলে তাদের ছেলেমেয়েদের ইচ্ছা
থাকা সত্ত্বেও পারিবারিক সহযোগিতার অভাবে তারা ফ্রিল্যান্সিংয়ে পিছিয়ে আছে
।
১১। অনলাইনে আয় করতে হলে কি কি প্রস্তুতি নিতে হবে বলে মনে করেন?
রাকিবঃ অনেকেই অনলাইনে আয় করাকে অনেক কঠিন কাজ মনে
করেন । আমাদের দেশে যেমন যেকোনো কাজ করতে গেলে সে কাজে দক্ষতার প্রয়োজন হয়,
ঠিক তেমনি অনলাইনে আয় করতেও প্রথমে কাজে দক্ষ হতে হবে । ঠিক “থ্রী ইডিয়টস”
মুভির আমির খানের কথামত- “আগে কাজে দক্ষতা অর্জন কর, সফলতা আপনা থেকেই
তোমায় খুঁজে নেবে” । অনলাইনে আয় করতে হলে কাজে দক্ষতার পাশাপাশি ইংরেজিতেও
দক্ষতা অর্জন এবং ইন্টারনেটের ব্যবহারও জানা জরুরী ।
১২। বাংলাদেশের যারা অনলাইনে আয় করতে ইচ্ছুক, তাদের জন্য আপনার পরামর্শটি জানান।
রাকিবঃ বাংলাদেশের যারা অনলাইনে আয় করতে ইচ্ছুক তাদের
জন্য আমার পরামর্শ হচ্ছে কাজে দক্ষতা অর্জনের পাশাপাশি অবশ্যই ইংরেজি
ভালোভাবে আয়ত্ত করুন এবং ইন্টারনেটের ব্যবহার শিখুন । আর অবশ্যই ধৈর্যশীল
হতে হবে । দেশীয় চাকুরীতে যেমন অ্যাপ্লাই করলেই কাজ পাওয়া যায় না, আপনার
চাকুরী পেতে ১ দিন নাকি ১ বছর লাগবে তা যেমন আপনি নিশ্চিতভাবে বলতে পারবেন
না, অনলাইনে কাজের ক্ষেত্রেও ঠিক একই রকম । So, keep trying hard. Good
luck all of you!
0 comments:
Post a Comment