আমেনা আক্তার এখন পযন্ত ওডেস্ক থেকে কয়েকহাজার ডলারের মত আয় করেছেন। কাজ
করেন এসইও সম্পর্কিত কাজ। বর্তমানে গ্রাফিক সম্পর্কিত কাজের প্রতি ঝুকছেন।
আর সেজন্য ক্রিয়েটিভ আইটি হতে কোর্স করছেন। এবারের বিআইপিসি প্রোগ্রামে
সেরা নারী ফ্রিল্যান্সার হিসেবে পুরস্কৃত হয়েছেন, ক্রিয়েটিভ আইটি আয়োজিত
সেরা ফ্রিল্যান্সার সংবর্ধনাতেও নারী ক্যাটাগরিতে সংবর্ধিত হবেন আগামী ১৩
ডিসেম্বর। এ গুনী নারীর কাছ থেকে অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য জানতে পেরেছি, যা
নতুন যারা কাজ করতে আগ্রহী, তারা মেনে চললে সফল হবেন আশা করা যায়।
ফেসবুক আইডিঃ-
https://www.facebook.com/amenaaktermonia
https://www.facebook.com/amenaakterbd
ওয়েবসাইট-
http://www.amenaakter.com/
ওডেক্স আইডি-
https://www.odesk.com/users/~013b4a974572984f7b


- অনেকেই মনে করে বাসায় বসে আয় করা খুব সহজ এই চিন্তা থেকে ফ্রীলান্সিং করতে আসে কিন্তু পরে বুজতে পারে আসলে যতটা এতটা সহজ না।এই চিন্তা-ভাবনাটা সফল হওয়ার পিছনে একটা বাধা।
- কিছু শিখতে হলে তারজন্য অনেক ধৈয্য এবং পরিশ্রম দরকার।পরিশ্রম, চেষ্টা আর আত্মবিশ্বাসের অভাব এই সেক্টরেসফলতার পথে অন্যতম প্রধান অন্তরায়।
- ভালোভাবে কাজ না শিখেই আয় করার চিন্তা করা।ইংরেজিতে দক্ষতা না থাকা। ফ্রীল্যান্সিং কাজ করতে হলে কোন একটা বিষয়ে অভিজ্ঞ হওয়া বেশী জরুরি।
- ভালভাবে দিকনির্দেশনা দিতে পারে এমন নির্ভরযোগ্য ব্যক্তি/প্রতিষ্ঠান খুজে না পাওয়া আরেকটি কারন।
- একজন মানুষের পক্ষে একসাথে অনেক ধরনের কাজ করা সম্ভব না। তাই কোন বিষয় নিয়ে কাজ করবেন, তা ঠিক করুন। কোন ভাল ইন্সটিটিউট থেকে কিংবা এবিষয়ে দক্ষ্ কারও কাছ থেকে কাজ শিখুন। অনলাইন থেকেও শিখা যেতে পারে, তবে অনেক সময় লাগবে।
- আগে যে কোন বিষয় এর উপর ১০০ ভাগ দক্ষতা অর্জন নিশ্চিত করতে হবে।দক্ষতা অর্জনের আগেই কাজের পেছনে ছুটলে, সেই ছোটা কখনও শেষ হবে না। আগে যেকোন বিষয়ে পারদর্শী হয়ে উঠে যোগ্যতা অর্জন করতে হবে, কাজ’ই আপনাকে খুঁজে নেবে।কাজকে ভালোবাসুন, কাজই আপনাকে প্রতিদান দিবে।তারপর একা অথবা কোথাও টিমের সাথে কাজ করে প্রাকটিক্যালি সেটাকে আরও শান দেওয়া হবে।
- ইংরেজিতে দক্ষ হতে হবে। সবসময় চর্চার মধ্যে থাকতে হবে।
- প্রথমেই খুব ভালোভাবে চিন্তা-ভাবনা করতে হবে, আসলেই এই সেক্টরে থাকতে পারবেন কিনা।কয়েকদিন সময় নষ্ট করাটা বোকামি।
- আইটি প্রফেশনে কাজ করতে চাইলে অবশ্যই জ্ঞানের পরিধি অনেক বাড়াতে হবে।সর্বোপরি সার্চিংয়ে অনেক ভালো হতে হবে। যাতে তোমার যেকোন প্রশ্নের উত্তরসার্চ করেই নিজে খুঁজে নিতে পার।
- যারা ভালো কাজ করে তাদের অনুসরন করতে পারেন।
- যে বিষয়ে কাজ করতে চান সেই বিষয়ের ব্লগ এবং ফোরাম সাইটগুলো পড়তে পারেন।
- কাজ সম্পর্কিত ইউটিউব টিউটোরিয়াল দেখতে পারেন।
- আন্তর্জাতিক পর্যায়ের কাজগুলো ভালভাবে মন দিয়ে দেখুন,নিজে নিজে চেষ্টা করুন। নিজেকে আন্তর্জাতিক গুণগত মানসম্পন্ন কাজ করতে সক্ষম করে তুলুন।
- চেষ্টা আর পরিশ্রমের কোন বিকল্প নেই।হতাশ হওয়া যাবেনা কোন বাধাতে কিংবা কোন ব্যর্থতাতে।- – সকল ক্ষেত্রে ইতিবাচক থাকুন।সময় মেনে চলুন, কমিটমেন্ট বজায় রাখুন।
- ক্লায়েন্ট এর মেইল কিংবা ম্যাসেজ এর দ্রুত রিপ্লাই দিতে চেষ্টা করবেন। এতে আপনার সিরিয়াসনেস প্রকাশ পাবে।
- কাজটি ভালোভাবে বুঝে নিন। অর্ধেক বুঝেই কাজ শুরু করে দিবেন না।
- মিথ্যে বলবেন না, যে কাজ আপনি পারেন না সেই কাজ নিয়ে ঠকবাজি করবেন না।
- পরিশ্রম করার মন-মানসিকতা,আন্তরিকতা,নিজ থেকে উদ্যাগী হওয়া,সময়নিষ্ঠতা,সততা,ধৈর্যশীলতা,হতাশ না হওয়া এবং আত্মবিশ্বাস এই বিষয়গুলোকে সবসময় মাথায় রাখতে হবে।
- আধাআধি কাজ শিখে কাজ শুরু করা উচিত না।অনেককে প্রাকটিক্যালি দেখেছি যে অগোছালো একটা ইনডিসিপ্লিন লাইফলীড করতে করতে একসময় স্টামিনা লুজ করে, আগ্রহ হারিয়ে ফেলে, পরে কোয়ালিটিমেইন্টেইন করে উঠতে পারে না। ফলে এটা ক্যারিয়ার এর জন্য আসলে ভাল কিছুআল্টিমেটলি বয়ে আনে না।সুতরাং, আগে এক্সপার্ট তারপর টিম ওয়ার্কআর উদ্যোক্তার বীজ যাদের মধ্যে আছে তারা তাদের মেধা আর ইনোভেশন নিয়েপ্রস্ফুটিত তো হবেই।
তারপর শ্রদ্ধার সাথে স্বরণ করবো আমার জীবনসঙ্গী, আমার অভিভাবক, আমার পরম বন্ধু মোঃ নাজমুল ইসলামকে(Md Nazmul Islam)।যার কাছে আমি চিরকৃতজ্ঞ, চিরঋণী যার সহযোগিতায় ফ্রীলাঞ্চিং জগতে আমার পদচারনা, আমার এই সফলতা। যিনি আমাকে প্রতিষ্ঠিত হওয়ার জন্য দুই হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন, খুলে দিয়েছেন উদার মনের দরজা। যিনি সবসময় চান আমি যেন ভাল কাজের মাধ্যমে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে পারি। ধন্য আমি, ধন্য আমার জীবন উনার জীবনসঙ্গী হতে পেরে।এই মানুষটির অনুপ্রেরণা ও সহযোগিতা ছাড়া কিছুই সম্ভব ছিল না।
তারপরে আমি আমার অনেক কষ্ট,অনেক পরিশ্রম আর সাধনার দিনগুলোর কারনে আমাকেই স্বরণ করতে পারি,কেননা আমার আত্মবিশ্বাস,ধৈর্যশীলতা সততা, সময়নিষ্ঠতা, পরিশ্রম করার মন মানসিকতা,আন্তরিকতা,নিজ থেকে উদ্যাগী হওয়া, এগুলোকে পুঁজি করে আজকের এই অবস্থানে আসতে আসা ।আমার পরিবারের লোকেরা এই ব্যপারে প্রত্যক্ষভাবে সহযোগিতা করতে পারে নি কারন এই পেশার সাথে কেউ জড়িত ছিল না, তবে পরোক্ষভাবে সহযোগিতা করেছে।
ফেসবুক আইডিঃ-
https://www.facebook.com/amenaaktermonia
https://www.facebook.com/amenaakterbd
ওয়েবসাইট-
http://www.amenaakter.com/
ওডেক্স আইডি-
https://www.odesk.com/users/~013b4a974572984f7b
১। ফ্রিল্যান্সিংয়ে কিভাবে উদ্বুদ্ধ হয়েছিলেন?
আমেনাঃ “বাইরে চাকরি করার চেয়ে ঘরে বসে আয় করা অনেক ভালো।এই পেশাটা নারীদের জন্য সবচেয়ে উত্তম, কেননা বাসায় বসে স্বাধীনভাবে আয় করাযায় নিজের ইচ্ছেমত, নিজের সময়মত। বাইরে চাকরি করতে গিয়ে নানারকম হয়রানিরশিকার হওয়ার চেয়ে বাসায় বসে আয় করাই শ্রেয়।” মূলতএ বিষয়টি আমাকে ফ্রিল্যান্সিং বিষয়ে উদ্বুদ্ধ করেছে।২। কবে থেকে ফ্রিল্যান্সিং শুরু করেছিলেন? সাধারণত কি কাজ করেন?
আমেনাঃ ২০১১ এর দিকে জানতে পারি অনলাইনে বাসায় বসে আয় করার সম্পর্কে।২০১১ সালে জনপ্রিয় মার্কেটপ্লেস ওডেক্স এ একাউন্ট খুলি।এসইও এবং এসএমএম এর মাধ্যমে এই জগতে পদার্পন হয়।আসলে এসইও কাজ করতে গিয়ে গ্রাফিক্স ডিজাইন এর ফটোশপ এর কাজ করতে হয় বিশেষ করে ইমেজ এডিটিং এর কাজ। মনে মনে ইচ্ছা করেছিলাম গ্রাফিক্স ডিজাইন এর কোর্স করার। একদিন ফেইসবুক এ ক্রিয়েটিভ আইটির অফার দেখালাম যে,হাই টেক পার্ক আর উদ্যোগে মেয়েদের স্কলারশিপ দিচ্ছে গ্রাফিক্স ডিসাইন এর উপর, যাক একঢিলে দুই পাখি। একেতো হাই টেক পার্কের উদ্যোগে তার উপর ক্রিয়েটিভ আইটির মত স্বনামধন্য প্রতিষ্ঠান থেকে কোর্স করার সুযোগ তাই আর লোভ সামলাতে পারলাম না,করে নিলাম গ্রাফিক্স ডিজাইন এর কোর্স।আশা করি এর মাধ্যমেও আয় করতে পারবো।৩। ফ্রিল্যান্সিংয়ের কাজ শিখেছিলেন কিভাবে?
আমেনাঃ SEO এর কাজ করার খুব আগ্রহ থাকায় একটি স্বল্পমেয়াদি কোর্স করে নিলাম পড়াশোনার পাশাপাশি।হাসান সুমন, ফকরুল ইসলাম ভাইদের কাছে থেকেই আমার হাতে কলমে শিক্ষা, বিশেষ করে ফকরুল ভাই।তারপর সিক্ষক/গুরু হলেন আমার জীবনসঙ্গী, অভিভাবক, পরম বন্ধু মোঃ নাজমুল ইসলাম। তারপরে যখনি সমস্যায় পরতাম প্রশ্ন করে গুগলে সার্চ দিয়ে বের করার চেষ্টা করতাম পাশাপাশি ইউটিউব, এসইও সম্পর্কিত ব্লগ, ফোরাম সাইট এর সাহায্য নিতাম।৪। কোন মার্কেটপ্লেসে কাজ করতে বেশি স্বাচ্ছন্দবোধ করেন? কেন?
আমেনাঃ ওডেক্স এর মাধ্যমে আমার অনলাইন ক্যারিয়ার জীবন শুরু তাই এই মার্কেটপ্লেসে কাজ করতে বেশি স্বাচ্ছন্দবোধ করি।এদের পেমেন্ট নির্ভরযোগ্য।এখানে কাজ করাটা আমার কাছে নিরাপদ মনে হয়।ওডেস্ক থেকে টাকা তোলা বেশী সহজ।বর্তমানে আমি ইল্যান্সের মাধ্যমে কাজ করছি।৫। ফ্রিল্যান্সিংয়ের কাজে প্রথমবার কত পেমেন্ট পেয়েছিলেন? কাজ কি ছিল? সেই টাকা দিয়ে কি করেছিলেন?
আমেনাঃ ফ্রিল্যান্সিংয়ের প্রথমবার লিংকবিল্ডিং এর কাজে $১৫(ফিক্সড প্রাইজ )পেমেন্ট পেয়েছিলাম। প্রথম চারটি কাজের পেমেন্ট $৫৩৫ একসাথে ড্র দিয়ে যে টাকাগুলো পাই প্রথমেই কিছু টাকা মসজিদে দান করেছিলাম। তারপর সেই টাকার বেশিরভাগই আমার বাবা-মাকে দেই, কিছু টাকা নিজের জন্য খরচ করি এবং কিছু টাকা গরিবদের মধ্যে বিতরণ করি।৬। ফ্রিল্যান্সিং থেকে আয় করা পেমেন্ট কিভাবে উত্তোলন করেন?
আমেনাঃ লোকাল ব্যাংক এবং পেওনিয়ার মাস্টার কার্ডের মাধ্যমে টাকা উত্তোলন করি।৫। ফ্রিল্যান্সিং নিয়ে আপনার ভবিষ্যত পরিকল্পনা কি?
আমেনাঃ ফ্রিল্যান্সিং নিয়ে আমার ভবিষ্যত পরিকল্পনা হলো এই সেক্টরে নারীদের নিয়ে আসতে চাই,হতে চাই নারী উদ্যোক্তা।কেননা আমি মনে করি “বাইরে চাকরি করার চেয়ে ঘরে বসে আয় করা অনেক ভালো।” নারীদের হাতে-কলমে শিক্ষা দিয়ে সাবলম্বী করে তুলতে চাই।সেই উদ্দেশে গড়ে তুলেছি Terrestrial IT নামে ছোট একটি প্রতিষ্ঠান। খুব শীগ্রই মেয়েদের নিয়ে ব্যাচ চালু করবো।৬। এখন পযন্ত ফ্রিল্যান্সিং থেকে আনুমানিক কি পরিমাণ আয় করেছেন?
আমেনাঃ আমাকে হিসাব করে বের করতে হবে, এই মুহর্তে বলতে পারছি না কারন আমি ওডেক্সে কয়েক হাজার ডলার আয় করেছি।এছাড়াও ক্লায়েন্ট এর সাথে ডিরেক্ট কাজ করেছি ডিরেক্ট পেমেন্ট এর মাধ্যমে।৭। ফ্রিল্যান্সিংয়ের কাজে আপনি দিনে কত ঘন্টা ব্যয় করেন? কোন সময়টিতে কাজ করতে স্বাচ্ছন্দবোধ করেন?
আমেনাঃ প্রতিদিন গড়ে ৮-১০ ঘন্টা কাজ করি এছাড়াও নিজের ওয়েবসাইট কাজ করতে হয়।ফ্রিল্যান্সিংয়ের মজাটাই হচ্ছে, নিজের ইচ্ছামত সময়ে কাজ করা।মুক্ত পেশা যখন ভালো লাগে তখনি কাজ করি তবে সকাল এবং রাতে কাজ করতে স্বাচ্ছন্দবোধ করি।৮। ফ্রিল্যান্সিংয়ের কাজ করতেআগ্রহীদের সফল হওয়ার পথে অন্তরায় কি বলে মনে করেন?
আমেনাঃ আমার মতে ফ্রিল্যান্সিংয়ে সফল হওয়ার পথে অন্তরায়গুলো হল–- অনেকেই মনে করে বাসায় বসে আয় করা খুব সহজ এই চিন্তা থেকে ফ্রীলান্সিং করতে আসে কিন্তু পরে বুজতে পারে আসলে যতটা এতটা সহজ না।এই চিন্তা-ভাবনাটা সফল হওয়ার পিছনে একটা বাধা।
- কিছু শিখতে হলে তারজন্য অনেক ধৈয্য এবং পরিশ্রম দরকার।পরিশ্রম, চেষ্টা আর আত্মবিশ্বাসের অভাব এই সেক্টরেসফলতার পথে অন্যতম প্রধান অন্তরায়।
- ভালোভাবে কাজ না শিখেই আয় করার চিন্তা করা।ইংরেজিতে দক্ষতা না থাকা। ফ্রীল্যান্সিং কাজ করতে হলে কোন একটা বিষয়ে অভিজ্ঞ হওয়া বেশী জরুরি।
- ভালভাবে দিকনির্দেশনা দিতে পারে এমন নির্ভরযোগ্য ব্যক্তি/প্রতিষ্ঠান খুজে না পাওয়া আরেকটি কারন।
৯। অনলাইনে আয় করতে হলে কি কি প্রস্তুতি নিতে হবে বলে মনে করেন?
আমেনাঃ আমার মতে অনলাইনে কাজ করার নিম্নোক্ত প্রস্তুতি নিতে হবে:-- একজন মানুষের পক্ষে একসাথে অনেক ধরনের কাজ করা সম্ভব না। তাই কোন বিষয় নিয়ে কাজ করবেন, তা ঠিক করুন। কোন ভাল ইন্সটিটিউট থেকে কিংবা এবিষয়ে দক্ষ্ কারও কাছ থেকে কাজ শিখুন। অনলাইন থেকেও শিখা যেতে পারে, তবে অনেক সময় লাগবে।
- আগে যে কোন বিষয় এর উপর ১০০ ভাগ দক্ষতা অর্জন নিশ্চিত করতে হবে।দক্ষতা অর্জনের আগেই কাজের পেছনে ছুটলে, সেই ছোটা কখনও শেষ হবে না। আগে যেকোন বিষয়ে পারদর্শী হয়ে উঠে যোগ্যতা অর্জন করতে হবে, কাজ’ই আপনাকে খুঁজে নেবে।কাজকে ভালোবাসুন, কাজই আপনাকে প্রতিদান দিবে।তারপর একা অথবা কোথাও টিমের সাথে কাজ করে প্রাকটিক্যালি সেটাকে আরও শান দেওয়া হবে।
- ইংরেজিতে দক্ষ হতে হবে। সবসময় চর্চার মধ্যে থাকতে হবে।
১০। বাংলাদেশের যারা অনলাইনে আয় করতে ইচ্ছুক, তাদের জন্য আপনার পরামর্শটি জানান।
আমেনাঃ যারা অনলাইনে আয় করতে চান তাদের জন্য আমার কিছু পরামর্শঃ-- প্রথমেই খুব ভালোভাবে চিন্তা-ভাবনা করতে হবে, আসলেই এই সেক্টরে থাকতে পারবেন কিনা।কয়েকদিন সময় নষ্ট করাটা বোকামি।
- আইটি প্রফেশনে কাজ করতে চাইলে অবশ্যই জ্ঞানের পরিধি অনেক বাড়াতে হবে।সর্বোপরি সার্চিংয়ে অনেক ভালো হতে হবে। যাতে তোমার যেকোন প্রশ্নের উত্তরসার্চ করেই নিজে খুঁজে নিতে পার।
- যারা ভালো কাজ করে তাদের অনুসরন করতে পারেন।
- যে বিষয়ে কাজ করতে চান সেই বিষয়ের ব্লগ এবং ফোরাম সাইটগুলো পড়তে পারেন।
- কাজ সম্পর্কিত ইউটিউব টিউটোরিয়াল দেখতে পারেন।
- আন্তর্জাতিক পর্যায়ের কাজগুলো ভালভাবে মন দিয়ে দেখুন,নিজে নিজে চেষ্টা করুন। নিজেকে আন্তর্জাতিক গুণগত মানসম্পন্ন কাজ করতে সক্ষম করে তুলুন।
- চেষ্টা আর পরিশ্রমের কোন বিকল্প নেই।হতাশ হওয়া যাবেনা কোন বাধাতে কিংবা কোন ব্যর্থতাতে।- – সকল ক্ষেত্রে ইতিবাচক থাকুন।সময় মেনে চলুন, কমিটমেন্ট বজায় রাখুন।
- ক্লায়েন্ট এর মেইল কিংবা ম্যাসেজ এর দ্রুত রিপ্লাই দিতে চেষ্টা করবেন। এতে আপনার সিরিয়াসনেস প্রকাশ পাবে।
- কাজটি ভালোভাবে বুঝে নিন। অর্ধেক বুঝেই কাজ শুরু করে দিবেন না।
- মিথ্যে বলবেন না, যে কাজ আপনি পারেন না সেই কাজ নিয়ে ঠকবাজি করবেন না।
- পরিশ্রম করার মন-মানসিকতা,আন্তরিকতা,নিজ থেকে উদ্যাগী হওয়া,সময়নিষ্ঠতা,সততা,ধৈর্যশীলতা,হতাশ না হওয়া এবং আত্মবিশ্বাস এই বিষয়গুলোকে সবসময় মাথায় রাখতে হবে।
- আধাআধি কাজ শিখে কাজ শুরু করা উচিত না।অনেককে প্রাকটিক্যালি দেখেছি যে অগোছালো একটা ইনডিসিপ্লিন লাইফলীড করতে করতে একসময় স্টামিনা লুজ করে, আগ্রহ হারিয়ে ফেলে, পরে কোয়ালিটিমেইন্টেইন করে উঠতে পারে না। ফলে এটা ক্যারিয়ার এর জন্য আসলে ভাল কিছুআল্টিমেটলি বয়ে আনে না।সুতরাং, আগে এক্সপার্ট তারপর টিম ওয়ার্কআর উদ্যোক্তার বীজ যাদের মধ্যে আছে তারা তাদের মেধা আর ইনোভেশন নিয়েপ্রস্ফুটিত তো হবেই।
১১ আপনার সফলতার পিছনে কার অবদানকে স্মরণ করবেন ?
আমেনাঃ আমার এই সফলতার পিছনে প্রথমেই পরম করুণাময় আল্লাহতায়ালাকে স্মরণ করবো,যিনি আমাকে আজকের এই অবস্থানে আসার তওফিক দান করেছেন।হাসান সুমন, ফকরুল ইসলাম/পা্রভেজ ভাইদের আমি স্বরণ করবো কেননা উনাদের কাছে থেকেই আমার হাতেখড়ি।তারপর শ্রদ্ধার সাথে স্বরণ করবো আমার জীবনসঙ্গী, আমার অভিভাবক, আমার পরম বন্ধু মোঃ নাজমুল ইসলামকে(Md Nazmul Islam)।যার কাছে আমি চিরকৃতজ্ঞ, চিরঋণী যার সহযোগিতায় ফ্রীলাঞ্চিং জগতে আমার পদচারনা, আমার এই সফলতা। যিনি আমাকে প্রতিষ্ঠিত হওয়ার জন্য দুই হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন, খুলে দিয়েছেন উদার মনের দরজা। যিনি সবসময় চান আমি যেন ভাল কাজের মাধ্যমে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে পারি। ধন্য আমি, ধন্য আমার জীবন উনার জীবনসঙ্গী হতে পেরে।এই মানুষটির অনুপ্রেরণা ও সহযোগিতা ছাড়া কিছুই সম্ভব ছিল না।
তারপরে আমি আমার অনেক কষ্ট,অনেক পরিশ্রম আর সাধনার দিনগুলোর কারনে আমাকেই স্বরণ করতে পারি,কেননা আমার আত্মবিশ্বাস,ধৈর্যশীলতা সততা, সময়নিষ্ঠতা, পরিশ্রম করার মন মানসিকতা,আন্তরিকতা,নিজ থেকে উদ্যাগী হওয়া, এগুলোকে পুঁজি করে আজকের এই অবস্থানে আসতে আসা ।আমার পরিবারের লোকেরা এই ব্যপারে প্রত্যক্ষভাবে সহযোগিতা করতে পারে নি কারন এই পেশার সাথে কেউ জড়িত ছিল না, তবে পরোক্ষভাবে সহযোগিতা করেছে।
0 comments:
Post a Comment