মার্চেন্ডাইজার হিসেবে ক্যারিয়ার শুরু করলেও মা হওয়ার পর
ফ্রিল্যান্সিংটাকেই ক্যারিয়ার হিসেবে বেছে নিয়েছেন। আজকের আড্ডাটা এরকম মা ,
তানজিন আক্তার মুনমুন (
https://www.facebook.com/ms.munmun
) এর সাথে। সন্তান লালন পালনের পাশাপাশি ফ্রিল্যান্সিং করে সংসারে
আর্থিকভাবে ভালই সাপোর্ট দিচ্ছেন। তার আড্ডাতে উঠে এসেছে, একজন নারীর
ক্যারিয়ার হিসেবে ফ্রিল্যান্সিংটাই কেন উপযুক্ত।
১। ফ্রিল্যান্সিংয়ে কিভাবে উদ্বুদ্ধ হয়েছিলেন?
তানজিনঃআমি মূলত একজন মার্চেন্ডাইজার এবং এই সেক্টরে
কাজ করেছি প্রায় ৩বছর। কিন্তু আমার মেয়ে জন্মাবার পর আমার জন্য চাকরি করাটা
অসম্ভব হয়ে পড়ে। তাই ঘরে বসে আয় করার রাস্তা খুজতে শুরু করলাম। আর আমি
যেহেতু ছোটবেলা থেকে অনলাইন জগতের সাথে জড়িত তাই বিভিন্ন ব্লগ থেকে ওডেস্ক
সম্পর্কে জানতে পারলাম। সেখান থেকেই মূলত ফ্রীল্যান্সিং এ আসা।
২। কবে থেকে ফ্রিল্যান্সিং শুরু করেছিলেন? সাধারণত কি কাজ করেন?
তানজিনঃ ওডেস্ক এ ফ্রীল্যান্সিং শুরু করেছি ২০১২ থেকে।
সাধারনত গ্রাফিক্স ডিজাইন এর কাজই বেশী করা হয়েছে। এছাড়া এখন ওয়েব ডিজাইন
এবং এস,ই,ও এর কাজ করি।
৩। ফ্রিল্যান্সিংয়ের কাজ শিখেছিলেন কিভাবে?
তানজিনঃআমার বাবা মূলত গ্রাফিক্স ডিজাইনার। উনার কাছ
থেকেই ছোট বেলায় গ্রাফিক্স ডিজাইন এর হাতেখড়ি নেই। এরপর ডেভস টিম এ এস. ই. ও
শিখি আর ক্রিয়েটিভ আই টি তে এসে ১০০ নারী স্কলারশিপ ব্যাচ এ ওয়েব ডিজাইন
শিখেছি।
৪। কোন মার্কেটপ্লেসে কাজ করতে বেশি স্বাচ্ছন্দবোধ করেন? কেন?
তানজিনঃ ওডেস্কেই কাজ করি, কারণ আমার কাছে মনে হয় ওডেস্ক থেকে টাকা ড্র করাটা বেশী সহজ।
৫। ফ্রিল্যান্সিংয়ের কাজে প্রথমবার কত পেমেন্ট পেয়েছিলেন? কাজ কি ছিল? সেই টাকা দিয়ে কি করেছিলেন?
তানজিনঃ প্রথম কাজ ছিল মেডিক্যাল ইলাসট্রেসান এর। পেমেন্ট ছিল ১০০ ডলার। সেই টাকাটা আমি আমার বাবার হাতে দিয়েছিলাম।
৬। ফ্রিল্যান্সিং থেকে আয় করা পেমেন্ট কিভাবে উত্তোলন করেন?
তানজিনঃ সরাসরি ব্যাংক এ ট্রান্সফার করি।
৫। ফ্রিল্যান্সিং নিয়ে আপনার ভবিষ্যত পরিকল্পনা কি?
তানজিনঃ যেহেতু আমি একজন নারী এবং মা, তাই আমার মনে হয়
ফ্রীল্যান্সিং টা আমার জন্য অনেক ভাল একটা সুযোগ টাকা উপার্জনের জন্য। আর
তাই ভবিষ্যতে আমি ফ্রীল্যান্সিং এ করতে চাই। আমার মত যেসব নারী আছেন তাদেরও
আমি এই পেশায় আসতে সাহায্য করতে চাই।
৬। এখন পযন্ত ফ্রিল্যান্সিং থেকে আনুমানিক কি পরিমাণ আয় করেছেন?
তানজিনঃ এটাও আসলে সঠিকটা বলা মুশকিল কারণ আমি
ওডেস্কের বাইরেও অনেক ক্লায়েন্টের কাজ করেছি এবং তারা আমাকে সরাসরি
ওয়েস্টারন ইউনিয়ন এর মাধ্যমে টাকা পে করেছেন।
৭। ফ্রিল্যান্সিংয়ের কাজে আপনি দিনে কত ঘন্টা ব্যয় করেন? কোন সময়টিতে কাজ করতে স্বাচ্ছন্দবোধ করেন?
তানজিনঃ ইদানিং ক্রিয়েটিভে এই টি তে এস ই ও ট্রেইনার
হিসেবে আছি, তাই একটু সময় কম দেওয়া হচ্ছে। তারপর দিনে মিনিমাম ৬ ঘণ্টা টাইম
ত দেয়াই হয়। আমার কাছে কাজের জন্য ভাল সময় মনে হয় রাতের বেলা।
৮। ফ্রিল্যান্সিংয়ের কাজ করতে আগ্রহীদের সফল হওয়ার পথে অন্তরায় কি বলে মনে করেন?
তানজিনঃ আমার কাছে মনে হয় ফ্রীল্যান্সিং কাজ করতে হলে
কোন একটা বিষয়ে অভিজ্ঞ হওয়া বেশী জরুরি। তাই উচিত ভাল কোন ট্রেনিং সেন্টার
থেকে প্রফেশনাল কোর্স করা। তাছাড়া আরও একটা বিষয় খুব প্রয়োজন , আর তা হল
ধৈয্য।
৯। অনলাইনে আয় করতে হলে কি কি প্রস্তুতি নিতে হবে বলে মনে করেন?
তানজিনঃ অনলাইনে আয় করতে হলে অবশ্যই পরিশ্রম করার মানসিকতা থাকতে হবে। তাছাড়া ইংরেজিতে ভাল হওয়াটা খুবই জরুরী।
১০। বাংলাদেশের যারা অনলাইনে আয় করতে ইচ্ছুক, তাদের জন্য আপনার পরামর্শটি জানান।
তানজিনঃ আমি আমার ক্ষুদ্র অভিজ্ঞতা থেকে বলতে পারি
অনলাইনে আয় করার জন্য অবশ্যই আগে নিজেকে ভালভাবে গড়ে তোলাটা জরুরী। সেজন্য
দরকার মানসিক প্রশান্তি, ধৈয্য, আর পরিশ্রম।
0 comments:
Post a Comment